বাংলাদেশ এই পদ্ধতিটা প্রথম দিকে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য চাষ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এম এ সালাম। তিনি ২০১০ সালে নিজের বাড়ির ছাদে সবজি চাষ শুরু করেছিলেন, আর ২০১১ সালে শুরু করেন মাছ চাষ। এই অবদানের জন্য কৃষিক্ষেত্রে পদকও পেয়েছেন তিনি।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, অ্যাকোয়াপনিকস হলো টেকসই একটি খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে মাছ চাষ থেকে আসা দূষিত পানি গাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং সেখান থেকে স্বচ্ছ পরিষ্কার পানি পুনরায় মাছের ট্যাংকে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক এম এ সালাম বলেন, এই পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া অনুঘটক হিসেবে কাজ করে মাছের বর্জ্য থেকে গাছকে নিজের খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। একবার সিস্টেম দাড়িয়ে গেলে পরে আর খরচ নেই। এটা বেশি রক্ষণাবেক্ষণের দরকার হয় না। একদিকে মাছ যেমন ব্যাকটেরিয়ার জন্য পুষ্টি সরবরাহ করে, অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়া মাছের বর্জ্য ভেঙ্গে নাইট্রেট তৈরি করে গাছের খাদ্যের যোগান দেয়। গাছ আবার পানি পরিষ্কার করে মাছের বসবাস নিরাপদ করে তোলে।
0 comments:
Post a Comment