Facebook

3/facebook /post-per-tag

Friday, October 23, 2020

রহস্যময় সবুজ শিশু

 

সবুজ রঙা শিশুদের গল্প পুরনো দিনের। এদের নিয়ে অনেক গালগল্পই শোনা যায়। কিন্তু এগুলো কি আসলেই গালগল্প? না এর পেছনে কোনো সত্য রয়েছে? কগস্টেলের র‍্যালফ আর নিউব্রিজের উইলিয়াম নামের দুজন লেখক সবুজ রঙা শিশুদের কথা লিখেছেন। তারপরও সন্দেহ আর রহস্য ঘিরেই থাকে মধ্যযুগের এসব আখ্যান নিয়ে। কয়েক যুগ ধরেই বহু আলোচনা আর গবেষণা হয়েছে এই সবুজ শিশুদের অস্তিত্ব এবং জীবন নিয়ে।এসব লেখালেখি থেকে দেখা যায় দ্বাদশ শতকের দিকে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে উলপিট নামের এক গ্রামে হাজির হয় দুই সবুজ রঙা শিশু। এই শিশুদের নিয়ে এখনো চর্চা থামেনি- যেমন মিস্টিরিয়াস ব্রিটেন নামের এক ওয়েবসাইট। এই সাইট শুধু নয় অন্যান্য জায়গাতেও মিলবে সবুজ শিশুদের কাহিনী। তো শোনা যাক কী সেই কাহিনী?সাফোকের উলপিট গ্রামের প্রবেশমুখে একদিন হঠাৎ করে দেখা যায় দুটি শিশুকে। ছোট্ট এই ভাইবোনকে খুবই ভীতসন্ত্রস্ত  দেখাচ্ছিল, কিন্তু তাদের দেখে উল্টো ভয় পেয়ে যায় গ্রামবাসী। কারণ, এই দুই শিশুরই গায়ের রং ছিল সবুজ।

এমন হয় না কি মানুষ! এদিকে তাদের মুখের ভাষার কোনো শব্দও বুঝতে পারছিল না কেউ। কোথায় তাদের দেশ, কোত্থেকে কীভাবে এলো তা নিয়ে বিশাল রহস্য তৈরি হলো গ্রামে। সে যাহোক- ভয়, দ্বিধা আর বিভ্রান্তি কাটিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হলো উইলকিস এলাকার স্যার রিচার্ড ডি কেইনের বাড়িতে। 

এই অদ্ভুত দর্শনের দুটি শিশুকেই ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। গ্রামবাসী তাদের খাবার দিল। কিন্তু কোনো খাবারই তারা খেতে পারছিল না। কত খাবারের ছড়াছড়ি। হঠাৎ করেই বাচ্চা দুটোর চোখ পড়ে খেতে দেওয়া খাবার শিমের দিকে। এরপর তারা খেতে আগ্রহী হয়। শিম হাতে নিয়ে শিমের বীচি খাবার চেষ্টা করে তারা। এ অবস্থা দেখে সবাই তাদের শিখিয়ে দেয় কীভাবে শিমের বীচি খুলে খেতে হয়। এরপর বেশ কিছুদিন ধরে তারা কেবল শিমের বীচিই খেতে থাকে।

কিন্তু ছোট ছেলেটি দিন দিন রোগা আর অসুস্থ হয়ে যেতে থাকে। তার মনমরা ভাবও কাটে না। কিছুদিনের মধ্যেই মারা যায় ছেলেটি। অন্যদিকে, মেয়েটি দিব্যি সুস্থ শরীরে টিকে যায়। শিমের বীচির পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে থাকে। এক সময় তার গায়ের সবুজ রঙও মিলিয়ে যেতে থাকে। কিছুদিন পর সে ধীরেধীরে ইংরেজি ভাষা শিখতে থাকে এবং তাকে খ্রিস্টধর্মের দীক্ষা দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। অন্য মানুষের মতোই স্বাভাবিক জীবন পায় সে। 

মেয়েটি ইংরেজিতে ঠিকঠাক কথা বলা শেখার পর সন্ধান মেলে বড় রহস্যের। সে জানায়, তারা ভাইবোন এমন এক জায়গা থেকে এখানে এসেছিল যেখানে কোনো সূর্য নেই অথচ আলো রয়েছে সবসময়ই! এক অদ্ভুত পথের মধ্য দিয়ে সে আর তার ভাই এসেছিল এই উলপিটের পথে। সে পথটি ছিল বিচিত্র, আর সেখানে মিষ্টি সুরও শোনা যাচ্ছিল। ওই পথ দিয়ে এগোতে এগোতেই হঠাৎ করে তারা পৃথিবীতে এসে পড়ে, সূর্যের তীব্র আলোয় তারা সাময়িকভাবে অন্ধও হয়ে গিয়েছিল। কীভাবে তারা হঠাৎ করে এখানে এসে পড়ল, তা বুঝে উঠবার আগেই গ্রামের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।

এই সবুজরঙা ভাইবোনকে নিয়ে পরবর্তীকালে বহু গল্প-কাহিনীর সাথে হয়েছে বিস্তর গবেষণাও। অনেকে বলেছেন এ নেহায়েতই গল্প, অনেকে একে বলেছেন সত্যিকারের ঘটনা। অনেকে আবার এই ঘটনাকে মিলিয়ে দিচ্ছেন ভিনগ্রহের অ্যালিয়েনদের সঙ্গে! তবে ঘটনা যাই হোক, সবুজ রঙা ভাইবোনের এই গল্প এখনো অমীমাংসিত রহস্যই রয়ে গেছে! 

Share:

1 comment:

  1. সে জানায়, তারা ভাইবোন এমন এক জায়গা থেকে এখানে এসেছিল যেখানে কোনো সূর্য নেই অথচ আলো রয়েছে সবসময়ই!

    ReplyDelete

Recent

3/recent-posts

Music

3/Music/post-grid

BTemplates.com

3/Photography/post-per-tag
Powered by Blogger.

Facebook

Gold Digger

  Gold Digger She'd never SAY that money mattered... Really all that much to her. But at a DOZEN hearts get shattered... When she finds ...

Search This Blog

Blog Archive

Fashion

3/Fashion/post-per-tag

Beauty

3/Beauty/post-per-tag

Videos

3/Food/recent-videos

Technology

3/Technology/small-col-left

Sports

3/Sports/small-col-right

Fashion

3/Fashion/big-col-right

Business

3/Business/big-col-left

Header Ads

Header ADS

Followers

Nature

3/Nature/post-grid

Comments

3/recent-comments

Subscribe Us