Facebook

3/facebook /post-per-tag

Saturday, October 31, 2020

Famous

 

Fomous


It's not a poem but reality


Having money thought of changes

In what you never realized is being 

Famous comes with it's problems thinking you got it all but it may break lot .... Bring many bad people who influence you to do wrong things ... regrets later ....but it teaches you a lesson and make you more strong than ever but ...look for what you want and need difference of people...with pain .... having money does not bring you happiness that you need in your heart ....


Stories keep scrolling up and down 

Of being famous .... It becomes dangerous..... depressed.... looking up 

High 


Fall in love with  you then with your fans

Share:

About Pabna mental hospital

Pabna mental hospital 

Mental Hospital (manosic haspatal) an institution or institution that gives medical and surgery and medical care for people , sick or injured persons. psychological state service in Bangladesh is poorly developed compared to the developed and most of the developing countries of the planet . Pabna psychiatric hospital is that the first and therefore the only psychiatric hospital in Bangladesh for a population of about 130 million. it had been established in 1957 by the then Civil Surgeon of Pabna District during a local landlord's house. In 1959 it had been shifted to Hemayetpur, about 8 km from the district town, in a neighborhood of 111.25 acres of land. Initially the amount of beds was 60 and subsequently was increased to 200. Later in 1966 another 200 beds were added. Out of the entire beds, 280 are non-paying and 120 are paying beds. There are 18 wards within the hospital- 13 (11 non-paying and a couple of paying) for male patients and 5 (4 non-paying and 1 paying) for female patients. Currently efforts are being made to feature another 100 beds.


The Director is that the administrative head of the hospital. it's 365 sanctioned posts, including 24 psychiatrists, doctors, clinical psychologists, biochemists, psychiatric social workers etc, the remaining are supporting staffs that include nurses, pharmacist, radiographer, technicians, occupational therapists, administrative assistants etc.

The hospital provides service to the patients coming from everywhere the country. There are separate departments for the indoor and outdoor patients. Outdoor department takes decision whether to admit a patient within the hospital or not. Generally patients under 18 years and above 60 years aren't admitted within the hospital. Patients with white plague problems are admitted only in paying beds. The patients who aren't admitted within the hospital are given advice and medicine freed from charge. they're advised to go to outdoor department every 15 days till they're fully recovered. Although drug therapy is that the main vehicle of treatment, group psychotherapy and physical therapy also are provided to the patients. there's arrangement for indoor and outdoor sports, cultural activities etc. just in case of indoor patients the physicians on duty follow them up everyday. For routine examination of patients facilities like X-ray, pathology laboratory, ECG, electroencephalogram (EEG) etc, are available. Most of the patients admitted within the hospital are schizophrenic. During 1996 to 1998 the entire number of patients treated in outdoor departments was about 90,000 and in indoor departments about 2,800.


There is no rehabilitation centre in Bangladesh for the mental patients. Pabna psychiatric hospital features a government registered Welfare Society. This Society provides fund for sending patients home after their recovery and supplies essential life saving drugs. Besides, the Society provides jobs to the capable patients during their stay within the hospital. The Directorate of Society Welfare of the govt of Bangladesh gives an annual grant to the Society. It also runs variety of projects like , dairy and agricultural farms. Income generated from them is employed for the welfare of the patients. The Society also receives donations from NGOs and personal individuals and firms.


According to the WHO's global estimate of mental patients, Bangladesh with a population of about 130 million in 1998 had about 1.2 million severe mental patients and about 12.0 million mild mental patients. Recently, the National psychological state Institute has been established in Dhaka that started functioning in 2000. All the govt Medical College Hospitals and therefore the Combined Military Hospitals (CMH), and few private clinics have psychiatric wards. Narayanganj General Hospital and few private clinics have also wards for mental patients. In 1999 a 50 beds psychological state Hospital with outdoor facilities was established in Sylhet under private management

Share:

Friday, October 30, 2020

অস্তরাগ


 অন্ধকারের নকশা-শরীর জুড়ে 

ব্রাত্যমনের বিস্তর কাটাকুটি 

দেওয়ালের গায়ে সুচিকন সুখ-ছায়া 

আঁকছে নিখাদ সন্ধ্যাপ্রদীপ দুটি। 


জল গড়ে দেয় সম্ভাবনার ভিত 

তৃষ্ণা বাড়ে নিমিত্ত গণ্ডূষে 

নিমিত্ত টুকু ছারখার করে আজ ,

চোখ থেকে চোখ আমূল নিচ্ছে শুষে। 


ভাবতে পারো সোমত্ত চাঁদ টাকে ,

জড়িয়ে ধরে কখন গিয়েছি মরে। 

ভাবতে পারো কথার পিঠে কথায় 

অস্তরাগের আকাশ গিয়েছে ভরে। 


সুখের ভ্রুন প্রসব করছে রাত 

ভাঙছে আগল পবিত্রতম আলো,

আকাশভরা মনকেমনেরা 

আজ ব্যথার আগুন অন্য কোথাও জ্বালো। 


Share:

Thursday, October 29, 2020

একাকিত্ব মানেই অসহায়ত্ব


 নির্মল বাতাসের সন্ধানেই সেদিন দুজনে গিয়েছিলাম পার্কে। পার্কে ঢুকতে না ঢুকতেই বন্ধুর সেলফোনটা বেজে উঠল বেরসিকের মতো। প্রকৃতির এই রসিকতায় বন্ধু স্পষ্টতই বিরক্ত হলো। কিন্তু পকেট থেকে ফোনটা বের করে কলটা রিসিভ করেই তার মুখ হাসিহাসি হয়ে গেল এবং সে অনবরত বলতে লাগল, জ্বি ভাই। জ্বি ভাই। জ্বি ভাই।

তা দেখেই যা বোঝার বুঝে নিলাম আমি, বন্ধুর অনেক অনেক বড় ভাইদের কোনো একজনের তাঁকে হঠাৎ দরকার পড়েছে। আর এই ভাইদের কথা সে কখনোই ফেলতে পারেনা। কিংবা ফেলতে চাইনা। মানে দাঁড়াচ্ছে, বন্ধু এখন আমাকে পার্কে একা ফেলে চলে যাবে তার কোনো এক বড় ভাইয়ের কাজে।
আমি বন্ধুর আশেপাশেই ঘুরপাক খাচ্ছিলাম। বন্ধু ফোনের লাইন কেটে অকৃত্রিম করুণ চোখে তাকাল আমার দিকে। বলল, যেতে হবে রে।
      বন্ধুর করুণ চোখ আর মুখভঙ্গি দেখে হেসে ফেললাম আমি। বললাম, তা আর বলতে? যা তুই। বড়ভাই বলে কথা।
      কোন ভাই ফোন করলেন বা ভাইয়ের কী দরকার তা আর জানতে চাইলাম না আমি। বন্ধু নিজে থেকেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করল।
      আমি তাড়াতাড়ি হাত তুলে বন্ধুকে থামিয়ে দিলাম। বললাম, থাক, থাক।
      বন্ধু তখন চওড়া একটা হাসি দিয়ে বিদায় নিল। আর আমি ‘মানুষ মূলত একা‘ এই সুগভীর তত্ত্ব স্মরণ করে নিজেকে প্রবোধ দিলাম।
      বন্ধু থাকলে হাঁটাহাঁটি করতাম। তখন আর ইচ্ছে করল না। কাছেই একটা বেঞ্চ খালি পেয়ে তাতেই বসে পড়লাম। বসে রইলাম প্রকৃতির দেয়া            একাকিত্বকে বরণ করে নিয়ে।
 একটু পরে প্রকৃতি ও মানুষের সৌন্দর্য দেখতে লাগলাম।  সৌন্দর্য উপভোগের ফাঁকে একা মানুষের মনস্তত্বের কিছু জটিল বিশ্লেষণ মাথায় উঁকি দিতে লাগল। মানুষ মূলত একা হলেও প্রকৃতি বোধহয় একাকিত্ব পছন্দ করে না। প্রকৃতি আমাকে বেশিক্ষণ একা থাকতে দিল না। আমাকে সঙ্গ দেবার জন্যে প্রকৃতির একজন ছোট্ট সন্তানের আবির্ভাব হলো দৃশ্যপটে। বেঞ্চের একপ্রান্তে আমি, আরেক প্রান্তে প্রকৃতির সন্তান, এক বালক। কারো মুখে কোনো কথা নেই, এটাকে ঠিক সঙ্গ দেয়া বলা যায় না বোধহয়।
      আমার আর বালকের দূরত্ব কমতে থাকল একটু একটু করে। বালক আমার দিকে এগোচ্ছে। কৌতূহলে নিশ্চয়ই। আমি তাকালাম কয়েকবার। তাকাতেই বালক মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে কিছু না বোঝার ভান করছে। খেলা একরকমের। আমি মজাই পেলাম এই খেলায়। বালকের নিষ্পাপ চেহারায়, নিষ্পাপ চোখদুটোতে ভান ধরা পড়ে যাচ্ছে। বালকের এখনও সময় আসেনি প্রকৃতির রঙ্গমঞ্চে এক বা একাধিক চরিত্রে অভিনয় করার।
      বালককে পেয়ে আমি আমার একাকিত্বের কথা আর একা মানুষের মনস্তত্ব বিশ্লেষণের কথা ভুলে গেলাম। নীরবতা ভাঙতে চেষ্টা করলাম। বললাম, বাবু, তোমার নাম…
      নাম আর জানা হলো না আমার। বালক একছুটে চলে গেল একটু দূরের আরেক বেঞ্চের কাছে।
      একই দিনের একই বিকেলে দ্বিতীয়বার কেউ আমাকে একা ফেলে রেখে চলে গেল এই একই পার্কে।
      বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল। ও আমার প্রায় সবসময়ের সঙ্গী, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আজকে এভাবে একা ফেলে যাবার অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া যায়। ও এখন খুব একটা আনন্দে আছে বলে মনে হয় না।
      একটা ছোট ব্যাগ আছে আমার সাথে। তাতে একা মানুষের সম্ভাব্য শেষ আশ্রয় আছে একটা। একটা বই। সুনীল গাঙ্গুলির সেরা কবিতার সংকলন। এটাকেই এবার সঙ্গী করে নেবার চেষ্টা করলাম।
 সুবিধা করা গেল না। বইয়ের পাতায় নিবদ্ধ চোখের সামনে ভাবনাধারা বইতে লাগল, সুনীল দাদা এভাবে পার্কে হঠাৎ একা হয়ে গেলে কী করতেন? কবিতা পড়তেন? নাকি লিখতেন? নাকি প্রকৃতি আর মানুষ দেখতেন? নাকি পার্কে কাটানো সুন্দর কোনো বিকেলের সুখস্মৃতি হাতড়াতেন? স্মৃতি। সেও তো মানুষকে সঙ্গ দিতে পারে। আসলে মানুষ কি একা হয় কখনো? স্মৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন, চিন্তা থেকে বিচ্ছিন্ন? একলা না থাকার অভিনয়? নাকি একলা হবারই অভিনয়? একাকিত্ব যদিও
 হঠাৎ  ছোট্ট বালকের  কন্ঠে  ভাবনাধারায় ছেদ পড়ল। তাকিয়ে দেখতে পেলাম একটু দূরের বেঞ্চের  বালকটি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এলেমেলো চুল,ময়লা চেহারা । পরনে ছেঁড়া পোশাক। পোশাকই বলে দিচ্ছে বালকটির অসহায়ত্বের কথা। তবে সেই পোশাকটাই ছিপছিপে গড়ন আর শ্যামবর্ণের সাথে মানিয়ে গিয়ে একটা বিশেষত্ব এনে দিয়েছে। প্রকৃতি নদীতে জল কম দিলেও বাঁক দিয়েছে নান্দনিক প্রাচুর্যে।বালকের বয়স হয়তো ১০-১২ হবে।
 আমি নিজেকে তৈরি করে নিয়ে কিছু বলার আগেই বালক বলল, স্যার ১০টা টাকা দিবেন? আমি দুদিন ধরে কিছুই খায়নি। কথাটা শুনে অবাক হলামনা,তাকে পাশের একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাওয়ালাম। তারপর আবারও ফিরে এলাম পার্কে,বালকটিকে সঙ্গে নিয়ে।
বালক আর আমি দুজনেই নিরব।নিরবতা ভেঙে আমি তাকে বসতে বললাম,কিন্তু সে কিছুতেই আমার পাশে বসতে চাইনা, আমি জোর করে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আমার পাশে বসতে এত দ্বিধা কীসের?
 বালকটির সোজাসাপ্টা উত্তর আমরা ছোট মানুষ, সবাই টোকাই বলে ডাকে,কেউ কখনো ভালবাসেনা,দেখলেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়।
 বালকটির উত্তর শুনে সভ্য সমাজের আমাদেরকেই ছোটলোক মনে হচ্ছে,মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল, আমরা এত হীন মনের কেন?আমরা কী পারিনা রাস্তার অসহায় মানুষদেরকে মানুষ বলে বিবেচনা করতে? নাকি আমরাই অমানুষ?
 এতক্ষণ একটু অন্যমনস্ক হয়ে চিন্তা করছিলাম। এবার বালকটির দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে দেখতেই বালকটি বলল আসি স্যার।আমার প্রতিত্তোরের আশা না করেই বালকটি চলে গেল।
আমি শুধু নির্বাক চেয়ে আছি তার চলে যাওয়া পথের দিকে। ছেলেটার উপর একরকম মায়া পড়ে গিয়েছিল।  এরপর থেকে প্রতিদিন ঐ পার্কে যেতাম, আর আমার চোখজোড়া তাকেই সন্ধান   করত।কিন্তু কোনদিন দেখা মেলেনি। তবে তার মত অনেককেই দেখি এবং সাধ্যমত কিছু করার চেষ্টা করি।
এখন আমার মনে শুধু একটা প্রশ্নই গুরুপাক খায়,
কখনো কী আমরা প্রকৃত সভ্য হতে পারবনা?
রাস্তায় পড়ে থাকা হতদরিদ্র মানুষগুলোকে কী আমরা অবহেলায় করে যাব?
আবার পরক্ষণেই মন বলে উঠে,  না না!
একদিন সকলেরই কর্মসংস্থান হবে!  সুখের সংসার হবে,
  কোন মা-বাবা তার সন্তানকে রাস্তায় ছেড়ে দেবেনা,
কোন শিশুকে আর শিশুশ্রম করতে হবেনা, সব শিশুরাই তাদের মৌলিক অধিকার পাবে।
Share:

সময়ের অপেক্ষা


মানুষ সব কিছুতেই অপেক্ষা করে । অপেক্ষা করতে করতে সময় পার করে। কিছু করার জন্য অপেক্ষার প্রয়োজন । অপেক্ষা ছাড়া কোন কিছু সম্ভব নই । কেউ চাকরীর অপেক্ষা করে ,কেউ পরিক্ষার ফলাফলের অপেক্ষা, পিতামাতা সন্তানের বড় হওয়ার অপেক্ষা করে, নানান রকম অপেক্ষার সম্মুখীন হয় আমরা । 

আবার অনেকে তার ভালবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করে। কেউ অপেক্ষা করে সার্থক হয় । আবার কেউ বার্থ হয়। তবে বেশি ভাগ মানুষ অপেক্ষা করে সার্থক হতে পারে না । স্বপ্ন টা আগলায়ে নিয়ে বাচবেন। জীবনের সাফলতা আসবেই।

ভালবাসে একজনকে কিন্তু বিয়া হয় অন্ন জনের সাথে। অবার অনেকে অনেক কষ্টের পরে ভালবাসার মানুষ মিলতে পারে। এটা শুধু অপেক্ষার ফল হতে পারে । তবে বেশি ভাগ মানুষ বার্থ হয় । 

তবে কিছু পাইতে হলে অপেক্ষা করা অবশ্যই জরুরি । অপেক্ষা না করে আপনি কোন কিছু সার্থক হতে পাবেন না। তবে অপেক্ষার সাথে কঠোর চেষ্টা আর পরিশ্রম করতে হবে। সময় কারও জন্য বসে থাকবে না । সময় সময়ের মত চলতে থাকবে । সময়ের সাথে তাল মিলাইয়া  আপনাকে চলতে হবে। আপনি যদি সময়ের সাথে চলতে পারেন আপনি সার্থক না হলে আপনি বার্থ । সময় আপনাকে সুযোক দিবে না।তাই সময়ের সাথে মানিয়া চলতে শিখুন । এবং সময়কে মূল্য দিন। অপেক্ষা করতে শিখুন এবং সার্থক হন  । এবং কঠোর পরিশ্রম করুন । সবাইকে অনেক ধন্যবাদ । 

Share:

Tuesday, October 27, 2020

স্বপ্ন আগলে রাখুন


 এই সুন্দর পৃথিবীতে একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল স্বপ্ন দেখা। একবার চিন্তা করে দেখুন, যে মানুষটি আজ বেঁচে আছে সে কোনো না কোনোভাবে একটি বা একাধিক স্বপ্নকে সামনে রেখেই বেঁচে আছে। স্বপ্ন দেখতে হয়। স্বপ্ন দেখাতে হয়। যে স্বপ্ন দেখে না সে মৃত মানুষ!

স্বপ্ন পূরণ হয়, যদি কেউ তা হৃদয়ে লালন করে। আর স্বপ্ন তো বড় করেই দেখতে হয়। বড় স্বপ্ন দেখলে ছোট স্বপ্নগুলো এমনিতেই বাস্তবায়ন হয়। মনে করুন, আপনি দিনাজপুর থেকে ঢাকায় যাবেন। যাত্রা শুরু হল, পথে আপনি অনেক কিছুই দেখতে পাবেন। যাত্রাপথে আপনি অনেক উপজেলা, জেলা অতিক্রম করবেন। সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখবেন, অনেক বিচিত্র মানুষ দেখবেন। এভাবে আপনি বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও সাভার অতিক্রম করে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছবেন। কিন্তু যদি আপনি বগুড়া পর্যন্ত যেতেন, তাহলে আপনার ঢাকা শহরে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। ঢাকায় আসার কারণে আপনি পথে যা দেখেছেন তা বোনাস পেয়েছেন। বড় স্বপ্ন দেখার মজা এটিই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, স্বপ্নের কথাগুলো মানুষকে বলতে হয়। এতে লাভ কী? স্বপ্নের কথা মানুষকে বললে তার বাস্তবায়ন সহজ হয়। কিভাবে? আপনি যখন আপনার স্বপ্নের কথা কাউকে বলবেন তখন আপনার জীবনে দুটি ঘটনা ঘটবে। দেখবেন কেউ আপনাকে ও আপনার স্বপ্ন নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করছে। তারা আপনাকে বলতে পারে, এটি তোমার দ্বারা সম্ভব নয়! আবার কেউ আপনার স্বপ্ন পূরণে আপনাকে উৎসাহ দেবে। অন্যের দেয়া উৎসাহ আপনাকে সামনে চলতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। তখন আপনার স্বপ্ন আপনাকে থামতে দেবে না, বিশ্রাম দেবে না, এমনকি আপনাকে ঘুমাতেও দেবে না।আবার অন্যদিকে, যারা জীবনে কখনও বড় বা সুন্দর স্বপ্ন দেখে না বা কখনও সমাজে কোনো ভালো কাজ করে দেখাতে পারেনি, সমাজে কারও উপকারে আসতে পারেনি, তারা আপনাকে ভয় দেখাবে, নিরুৎসাহিত করবে। অনেক ক্ষেত্রে সমালোচকরা আপনাকে পাগল বলতেও কুণ্ঠাবোধ করবে না। মজার বিষয় হচ্ছে, বড় স্বপ্ন দেখে তা কাউকে বললে স্বপ্ন দেখা মানুষটি সবচেয়ে বেশি নিরুৎসাহিত বা সমালোচনার শিকার হতে পারে তার রক্তের সম্পর্কের প্রিয় মানুষের দ্বারাই! তাহলে উপায়? আপনি যদি সাহসী হন, বিবেকবান হন আর আপনার মনে যদি বড় ও সফল হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় থাকে, আর তা যদি আপনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে এমন কোনো অপশক্তি নেই যা আপনাকে থামাতে পারে।পরীক্ষায় এ-প্লাস পাওয়ার জন্য যেমন এ-প্লাস পাওয়া ছাত্রকে অনুসরণ করতে হয়, তেমনি সফল বা বড় হওয়ার জন্য সফল মানুষকেই অনুসরণ করতে হয়। সফল হওয়ার জন্য আপনার দেখা স্বপ্নটি কখনও চুরি হতে দেবেন না। স্বপ্ন চুরি হলে আপনি নিরুৎসাহিত হবেন। আর স্বপ্ন কিন্তু কাছের মানুষরাই বেশি চুরি করে! তাই সাবধান!

স্বপ্নকে হৃদয়ে লালন করুন। আপনার স্বপ্নের গাছটিকে জীবিত রাখুন। আর স্বপ্নের গাছটিকে জীবিত রাখতে তাতে প্রতিদিন নিয়ম মেনে পানি ঢালুন। দেখবেন একসময় আপনার স্বপ্নের গাছে সুন্দর পাতাসহ রঙিন ফুল ফুটবে, তাতে রঙিন প্রজাপতি আসবে। স্বপ্নের গাছে ফল ধরবে আর ফলটি সুমিষ্ট হবে, ঠিক আপনি যেমনটি চেয়েছিলেন

Share:

Sunday, October 25, 2020

শিরনামহীন অনুভুতি


 আজ আকাশে তারা নেই। চাঁদটাও মাঝে মাঝে হারিয়ে যায় কালো মেঘের আড়ালে। মৃদু হালকা হাওয়া বইছে। এলাকা জুড়ে বিদ্যুৎ নেই তাই চাঁদের আলোটা পরিষ্কার ভাবেই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎই চাঁদের লুকিয়ে যাওয়াটা অন্ধকারের মাঝে অন্য এক ধরণের অন্ধকারের সৃষ্টি করছে। বিষণ্ণতা যেন চারিদিক দিয়ে ঘিরে ধরেছে। চাঁদটা লুকানোর সাথে সাথে এক ধরণের কাকুতি ভরা অপেক্ষা শুরু হয়ে যায় কখন তা আবার দেখা দিবে। এই অপেক্ষার প্রহরটাও যেন অসাধারণ এক অনুভূতি। কখন যে ঐ কালোর মাঝে বৃক্তাকার সাদাটার দেখা মিলবে। সময়টা যেন খুব ভারি ভারি মনে হচ্ছে। ইচ্ছারাও যেন খুব প্রবল হয়ে এই মৃদু বাতাসের মত এদিক সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। মনে হয় অপেক্ষার প্রহর যেন খুব দীর্ঘতম। এক ধরণের শূণ্যতায় নীরব চারিদিক। এখনো অধীর আগ্রহে আকাশের ঐ দিকটার দিকে তাকিয়ে, যে দিকটায় কালোর আড়ালে লুকিয়ে আছে সাদা আলো! কবে আসবে সেই ক্ষণ। কবে দেখা মিলবে তার! কবে শেষ হবে এই কঠোর প্রতীক্ষার প্রহর! এইতো এখুনি আসবে, এই বুঝি এসে গেলো, এই বাক্য গুলো যেন কিছুটা হলেও নিরাশার উপর প্রবলভাবে কাজ করছে। গাড় কালো অন্ধকার। অন্ধকার যেন অন্ধকারকে গ্রাস করে আরও অন্ধকার নামিয়ে আনছে ধরণীতে। প্রবল বাতাসে মোম বাতির অগ্নি শিখার ন্যায় আশার আলো গুলো যেন নিভু নিভু। হঠাৎ কালোর বুক চিরে আঁধারে ফুটে উঠলো আলোর রেখা।গোলাপের কলি থেকে ফুল যেভাবে ফুটে উঠে সেভাবেই ধীরে ধীরে সেই সাদা আলো রূপ নিলো বৃক্তাকার আলোয় পরিপূর্ণ চাঁদে । এক নয়নে দেখছি দীর্ঘতম সময়ের পথ পেরিয়ে পাওয়া সেই আলোকে। কতই না মধুর সেই চাঁদ। কত সময় চলে গেছে তোমার অপেক্ষায়। তুমিত সেই চাঁদ, যাকে দেখার জন্য কঠিনতম পথ পারি দিতে হয়েছে আমাকে। কিন্তু এই কি! কেন নেই প্রশান্তি এই মনে। কেন মনে হয় বারবার আশার পূর্ণতার মাঝে যেন সেই আশাই খণ্ডিত। কিছু একটা যেন অনুপস্থিত। অস্থিরতা বিরাজমান। যাকে এতক্ষণ ধরে চেয়েছি, যার অপেক্ষায় দিয়েছি কঠিন পথ পার, তাকে পেয়েও যেন অশান্ত মন। এখন যেন অনুভূতির মাঝে প্রকৃত বিস্বাদটা খুঁজে পাচ্ছি। মন বলছে তাকে না পাওয়াটাই ভালো ছিল। সে অপেক্ষার সময়টাই বরং ভালো ছিলো। কবে আসবে আসবে ভেবে একটা আশার আলো জাগ্রত ছিল কিন্তু সেটা পাওয়ার পর এখন সব কিছুই উদ্দেশ্যহীন মনে হয়। কোন অনুভূতি নেই, নেই কোন অপেক্ষার যন্ত্রণা। নেই কোন কিছুকে পাওয়ার এক প্রবল আকাঙ্খা। মনে হয় যেন জীবনটা যেন সেই পথিকের মত, যে গন্তব্য খুঁজতে খুঁজতে এক সময় পথের সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলে এবং যখন সে গন্তব্যে চলে আসে তখন তার মন সেই ফেলে আসা পথের দিকেই ফিরে যেতে চায়। কি অদ্ভুত! যেন শিরোনামহীন এক অনুভুতি যাকে কোন শিরোনাম দেয়া যায় না।

আসলে এটা মানুষের স্বভাবের একটি দিক মাত্র। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে চন্ঞ্চল প্রকৃতির করে সৃষ্টি করেছেন। তাই তার মন স্থায়ী ভাবে কোন কিছুতে থাকতে চায় না। এটাইতো মানুষের জন্য এক ধরণের পরীক্ষা, সৃষ্টিকর্তার প্রত্যেকটি আদেশ ও নিষেধকে নিজের মধ্যে অটল ভাবে ধরে রাখার। তারাইতো সফল ও সৌভাগ্যবান যারা নিজেদের মনকে স্থায়ীভাবে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের পথে নিয়োজিত করে রাখে।

Share:

অনুপ্রেরণাময় জীবন

 

সপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে সপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।
– এ পি জে আবদুল কালাম

সাফল্য হল আপনি যা চান তা হাসিল করা। সুখ হল আপনি যা চান তা পাওয়া। 
– ডেল কার্নেগি
   

নিজের থেকে বড় কিছু তৈরি করার জন্য আপনার মধ্যে সব সক্ষমতাই রয়েছে। 
– সেথ গডিন

সাফল্যের জন্য প্রতিবন্ধকতা জরুরি কারণ অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ পেশার মত বিপণনেও সাফল্য আসে অনেক সংগ্রাম আর পরাজয় পেরিয়ে আসার পর। 
– অগ ম্যান্ডিনো
    

যদি আপনি আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না জানেন, তাহলে আপনার অবস্থা আক্রমণ হওয়ার উপক্রম একটি অসহায় প্রাচীরহীন শহরের মত।
– বুক অফ প্রোভার্বস
    

একজন গড়পড়তার মানুষ কথা বলে। একজন ভাল মানুষ ব্যাখ্যা করে। একজন উর্ধ্বতন মানুষ কাজ করে দেখায়। একজন সেরা মানুষ অন্যদেরকে প্রেরণা যোগায় যাতে তারা নিজেরাই কাজকে নিজের মত করে দেখতে পারে। 
– হার্ভি ম্যাকে
 
   
আপনার দর্শন ও স্বপ্নকে নিজের সন্তানের মত লালন করুন কারণ এগুলোই আপনার চূড়ান্ত অর্জনের প্রতিচিত্র হয়ে উঠবে। 
– নেপোলিয়ন হিল
    

আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে সেটা আপনার দোষ নয়,কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তাহলে সেটা আপনার দোষ।
– বিল গেটস

সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হল আমরা যা ভয় পাই সেগুলো অপেক্ষা আমরা যা আশা করি সেগুলোর উপর আমাদের সচেতন মনকে প্রতিষ্ঠিত করা। 
– ব্রায়ান ট্র্যাসি
 
   
ঝামেলার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা, অগ্রাধিকার, বিকল্প এগুলোকে প্রতিনিয়তই কাজে লাগাতে হবে। 
– জ্যাক ভ্যান্স
 
   
নিজের শরীরের যত্ন নিন। কারণ এটাই আপনার একমাত্র থাকার জায়গা। 
– জিম রন
    

আপনি জীবনে যা চান তা আপনি পেতে পারেন যদি আপনি অন্যদেরকে তাদের চাওয়া নিশ্চিত করতে সাহায্য করে থাকেন। 
– জিগ জিগলার
 
   
যতবার আমি ব্যর্থ হই এবং চেষ্টা চালিয়ে যাই তার উপর সরাসরি নির্ভর করে আমি কতবার সফল হতে পারব। 
– টম হপকিন্স

আপনি যে নতুন একটি কাজ হাতে নিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করেই সত্যিকারের সিদ্ধান্তের মাপকাঠি ধরা হয়।  যদি হাতে কোন কাজ না থাকে, তাহলে আপনি এখনও আপনার সত্যিকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি। 
– টনি রবিনস

আমি ভাবি আর ভাবি মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর। নিরানববই বারই আমার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। ঠিক একশ বারে পৌঁছে, আমি একটা সঠিক সমাধান বা সিদ্ধান্তে উপনীত হই।
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন 

তাদের কাছ থেকে দূরে থাক, যারা তোমার লক্ষ্য বা উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে খাটো করে দেখে। সংকীর্ণ চিত্তের অধিকারী ব্যক্তিরা সর্বদা তাই করে থাকে। কিন্তু, সত্যিকার মহৎ তারাই, যারা তোমাকেও মহৎ পথের দিক-নির্দেশনা প্রদান করে সেই বিশ্বাসের বীজ তোমার মধ্যে বপন করে। 
– মার্ক টোয়েইন

পরিবর্তন ঘটাও এবং পরিচালনা করো; পরিবর্তনকে মেনে নাও এবং সংগ্রাম করে বেঁচে থাকো। পরিবর্তনকে প্রতিহত করো এবং মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো। 
– রেই নর্ডা

মহৎ ব্যক্তিরা সর্বদাই সংকীর্ণ-ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষদের নিকট থেকে ভয়ানক বাধার সম্মুখীন হয়। 
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

যদি সুযোগ দরজায় না আসে, তবে নিজেই সুযোগ সৃষ্টি করো। 
– মিল্টন বার্লে

কার্যবিহীন দর্শন তথা দূরদৃষ্টি দিবাস্বপ্ন বৈ কিছুই নয়। আর, দূরদৃষ্টিহীন কার্য কেবলই দুঃস্বপ্ন।
– জাপানী প্রবাদ

যারা বলে অসম্ভব, অসম্ভব তাদের দুয়ারেই বেশি হানা দেয়।
– জন সার্কল

আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা। 
– মাইকেল জর্ডান

জ্ঞানার্জন করাটাই সবকিছু নয়, আমাদেরকে তার অবশ্যই কার্যে পরিণত করতে হবে। কেবল কিছু করতে চাওয়ার বাসনাই বড় কথা নয়, আমাদেরকে অবশ্যই কর্ম সম্পাদন করতে হবে। 
– গোর্থ

আমরা ঠিক তাই, যা আমরা বারবার করি। অর্থাৎ উৎকর্ষতা কোন দৈব-ঘটনা নয়; বরং তা একটি অভ্যাসমাত্র। 
– অ্যারিস্টটল

মাত্র দুটি পন্থায় সফল হওয়া যায়। একটি হচ্ছে, সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা, ঠিক যা তুমি করতে চাও। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া। 
– মারিও কুওমো

সাফল্য কার্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সফল মানুষ সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তারাও ভুল করে, কিন্তু কখনোও হাল ছাড়ে না। 
– কনর্যাজড হিল্টন

সাফল্য হচ্ছে উৎসাহ উদ্দীপনা ও ইচ্ছা শক্তিকে বিসর্জন না দিয়ে ব্যর্থতার পর ব্যর্থতার এক-একটি সোপান পার হওয়ার সামর্থ্য। 
– স্যার উইনস্টন চার্চিল

যখন সমগ্র পৃথিবী তোমার বিপক্ষে চলে যায়, তখন তুমিও ঘুরে দাঁড়াও এবং পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করো। 
– মার্ক টোয়েইন

যখন তোমার কাছে অনেক অনেক টাকা থাকবে, তখন তুমি ভুলে যাবে যে তুমি কে। আর যখন তোমার কাছে টাকা থাকবে না, তখন সমস্ত পৃথিবী ভুলে যাবে তুমি কে। 
– বিল গেটস

তোমার যদি বড় হবার আকাঙ্ক্ষা না থাকে, তুমি যদি শুধু কেরানি হতে চাও, তাহলে কেরানিই হবে। আর কিছু হবে না। কিন্তু তুমি যদি চাঁদকে স্পর্শ করতে চাও তবে চাঁদকে স্পর্শ করতে না পারলেও কাছাকাছি যেতে পারবে। 
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এক পরীক্ষায় আমি কিছু সাবজেক্টে ফেইল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সবগুলোতে পাস করেছিল। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি এর মালিক। 
– বিল গেটস

জীবনে চলার পথ হচ্ছে ২টি, হয় তুমি মেনে নাও তোমার আশেপাশে যা হচ্ছে তা,অথবা রুখে দাড়াও সেটাকে পরিবর্তন করার। 
– হুমায়ূন আহমেদ

কল্পনা বিদ্যার চেয়েও শক্তিশালী কেননা বিদ্যার সীমা আছে কিন্তু কল্পনার সীমা নেই।
– আলবার্ট আইনস্টাইন 

সাফল্যের চাবিকাঠি হলো আত্ববিশ্বাস আর আত্ববিশ্বাসের চাবিকাঠি হলো প্রস্তুতি। 
– জের গার্ডন

পৃথিবীতে কেউ শ্রেষ্ঠ হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। এটা একটা প্রক্রিয়া,যার মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিংবা একটা জাতি নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। সফলদের একটা স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নের পেছনেই তারা ছোটে। আগে থেকেই তারা প্রস্তুত থাকে যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য। ব্যর্থ হলে তারা ভেঙে পড়ে না। বরং নতুন উদ্যমে কাজ করে যায়। নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যায়। তারা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না। কিন্তু তারা নিজেদের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। গতকাল যতটা কাজকরেছে আজ তার চেয়ে বেশি কাজ করে। আর প্রতিজ্ঞা করে, আজ যা কাজ করেছে তার চেয়ে বেশি কাজ করবে আগামীকাল। তুমিও তা-ই করো। এভাবেই শ্রেষ্ঠত্ব আসে। এভাবেই স্বপ্ন হয় সত্যি। 
– এ পি জে আবদুল কালাম

আপনি যদি কোন ভালো কাজ করেন তাহলে লোকে আপনার সমালোচনা করবে। আম গাছে আম ধরে বলেই লোকে ঢিল মারে। ফজলি আম গাছে আরও বেশি করে মারে; শেওড়া গাছে কেউ ঢিল মারে না। 
– শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক

আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম। ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থাকত। জীবনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয়, সেই স্বপ্নকে ভালোও বাসতে হয়। 
– মার্ক জুকারবার্গ

বিদ্যালয়ে নকল করে পাশ করার চেয়ে অকৃতকার্য হওয়া অনেক বেশী সম্মানজনক। 
– আব্রাহাম লিংকন

জীবনটা আসলে কোনো কিছু পাওয়ার এবং থাকার জন্যে নয় বরং এটা হল বিলিয়ে দেয়ার জন্যে। 
– কেভিন ক্রুস

একটি মানুষ যেটা কল্পনা এবং বিশ্বাস করতে পারে সেতা অর্জনও করতে পারে। 
– নেপোলিয়ন হিল

সাফল্যের জন্যে নয় বরং সম্মানের জন্যে চেষ্টা কর। 
– আলবার্ট আইনেস্টাইন 

একটি রাস্তা বনের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে গেছে এবং আমি জেটিতে কম যাওয়া হয়েছে সেটিই বেছে নিলাম এবং এটিই আসলে সব কিছু পরিবর্তন করে দিলো। 
– রবার্ট ফোর্স্ট 

আমার সফলতার ক্ষেত্রে ধর্ম হচ্ছে আমি কখনই কোনো অজুহাত দেই না এবং নেই না। 
– ফ্লরেন্স নাইটেঙ্গেল

আপনি যেই সুযোগটি গ্রহন করেননি তার শতভাগ আপনি হারালেন। 
– ওয়েন গ্রেটজকি 

প্রত্যেকটি শট আমাকে পরের হোম রানের কাছে নিয়ে যায়। 
– বেব রুথ

আপনার উদ্দেশ্যটাকে বুঝতে পারাটাই হল কোনো কিছু অর্জনের সূচনা।
– ক্লেমেট স্টোন 

অতীত হল ভুতের মত, ভবিষ্যৎ হল স্বপ্ন। তাই আমাদের যেটা আছে তা হল বর্তমান। 
– বিল কসবি 

মনই সব। আপনি যা ভাববেন তাই হবেন। 
– গৌতম বুদ্ধ 

আমরা যা ভাবি তাই হই। 
– ইয়ারল নাইটেঙ্গং 

জীবন হল আমার সাথে ঘোটা ১০% ঘটনা আর ৯০% কীভাবে আমি এই সব ঘটনায় আচরন করি। 
– চার্লস সুইনডোল 

মানুষের ক্ষমতা হারানোর প্রধান কারন তারা ভাবে তাদের কোনো খমতাই নেই। 
– এলিস অয়াকার 

একটি গাছ রোপণ করার সবচেয়ে ভালো সময় ছিল ২০ বছর আগে এবং তার পরের ভালো সময়টি হচ্ছে এখন। 
– চীনা প্রবাদ 

একটি অপরীক্ষিত জিবনের বাঁচার অধিকার নেই। 
– সক্রেটিস 

আপনার সময় সীমিত, তাই আরেকজনের জন্যে তা নষ্ট করবেন না। 
– স্টিভ জবস 

জেতাটাই সব কিছু নয়, তবে জেতার ইচ্ছেটা অনেক কিছু। 
– ভিন্স লম্বারডি 

আমি আমার অবস্থানের হাতের একটি পণ্য না বরং আমি আমার সিদ্ধান্তের একটি ফসল। 
– স্টিফেন কভে 

আপনি যতক্ষণ না ডাঙ্গার মায়া ছারবেন ততক্ষন আপনি সমুদ্র পারি দিতে পারবেন না। 
– কলম্বাস 

আমি শিখেছি মানুষ ভুলে যাবে আপনি কি বললেন, আপনি কি করলেন কিন্তু আপনি তাদেরকে যেই অনুভুতি দিলেন তা তারা ভুল্বেনা। 
– মায়া আঙ্গেলো 

দিনকে চালান নাইলে দিনটাই আপনাকে চালাবে। 
– জিম রোন 

আপনি পারবেন কি পারবেন না যাই ভাবেন না কেনো আপনি সেটাই। 
– হেনরি ফর্ড 

আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিন হল যেদিন আপনি জন্মেছেন এবং যেদিন জানবেন কেন জন্মেছেন। 
– মার্ক টয়াইন 

সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ হল বড় সাফল্য। 
– ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা 

প্রত্যেকটি শিশুই একজন শিল্পী। তবে সমস্যা হল কীভাবে বড় হবার পরেও তাকে এই শিল্পী হিসাবেই রাখা যায়। 
– পাবলো পিকাসো  

জীবন বিকশিত হবে নাকি সঙ্কুচিত হবে তা নির্ভর করে একজনের ইচ্ছার উপর। 
– আনাইস নিন 

ৱযদি কোনো একটি কণ্ঠ তমাকে বলে তুমি আক্তে পারবে না তাহলে জেভাবে পার আকো এবং দেখবে সেই কণ্ঠটি চুপ হয়ে গেছে। 
– ভিন্সেন্ট ভেন 

সমালোচনার হাত থেকে বাঁচার উপায় একটাই। কিছুই কর না, কিছুই বল না এবং কিছুই হয়ও না। 
– এরিস্টটল 

তুমি সেই মানুষটির মতই হতে চাও যেই মানুষটি তুমি নিজে হতে চেয়েছো। 
– রালফ অয়াল্ডো 

তোমার সপ্নের দিকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাও এবং তুমি যেই জীবনটার স্বপ্ন দেখ ঠিক সেটাই কাটাও। 
– হেনরি ডেভিড 

৭০ অনেক কিছুই তোমার চোখকে আকর্ষণ করবে কিন্তু শুধু সেই জিনিসগুলোর পিছনে যাও যেটা তোমার হৃদয়কে আকর্ষণ করেছে। 
– ভারতীয় প্রবাদ 

বিশ্বাস কর যে তুমি পারবে তাহলেই তুমি অর্ধেকটা পেরে গেছ। 
– রেসেভেল্ট 

তুমি সবসময় যে জিনিসগুলো চেয়েছো তা আছে তোমার ভয়ের অপর পাশে। 
– জর্জ এডেইর 

যেখানে আছো সেখান থেকেই শুরু কর, জা আছে তাই দিয়ে চেষ্টা কর, জা পারো তাই কর। 
– আরথার এসে 

দুর্বলেরা ভাগ্য বিশ্বাস করে সবলেরা ভাগ্য ছিনিয়ে আনে।
– অগাস্টিন

সবকিছুরই সৌন্দর্য রয়েছে কিন্তু সবাই তা দেখতে পায় না।
– কনফিকাস 

চাঁদকে উদ্দেশ্য করে তীর ছুঁড়ো, যদি তীর চাঁদের গায়ে নাও লাগে তবে নিশ্চিত তা “তারা”-গুলোর বুক তো ভেদ করবেই। বড় কিছু হবার চেষ্টা করো, একটা না একটা কিছু হতে পারবেই। 
– মার্ক ভিক্টর

রাতে শুয়ে দিনের কাজ গুলো এক বার মনে মনে ভাবো। 
– ইমাম গাজ্জালি (রাঃ)

যদি উড়তে না পার তবে দৌড়াও। যদি দৌড়াতে না পার তবে হাঁট। যদি হাঁটতে না পার তবে হামাগুড়ি দাও।যাই কর না কেন মনে রেখ সামনে এগিয়ে যেতে হবেই।
– মারটিন লুথার কিং

তোমার হাতে সময় সীমিত। তাই ভিন্ন মানুষের জীবন যাপন করে সেটাকে নষ্ট করো না। ভ্রান্ত কোনও বিশ্বাসের বেড়াজালে নিজেকে আটকে ফেলো না; অন্য মানুষের চিন্তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের জীবনটা যাপন করো না। অন্য মানুষের মতামতের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তোমার নিজের ভেতরের মানুষটাকে মেরে ফেল না। 
– স্টিভ জবস

যদি তুমি একটি সুখী জীবন চাও, তাহলে এটাকে একটি লক্ষ্যের সাথে বেধে ফেল, কোন মানুষ অথবা বস্তুর সাথে নয়। 
– আলবার্ট আইনেস্টাইন 

জীবনের পথে চলতে গিয়ে অনেকের কারনে আমরা অনেকসময় কষ্ট পাই। কিন্তু আপনি যতক্ষন পর্যন্ত না কাউকে তার কৃ্তকর্মের জন্য ক্ষমা করে দিচ্ছেন ঠিক ততক্ষন পর্যন্ত সেই ঘটনা আপনার মনে ‘ভাড়াবিহীন একটি ঘরের মত’ জায়গা দখল করে থাকবে এবং আপনাকে কষ্ট দিতেই থাকবে। 
– ইসাবেল হল্যান্ড

আপনি কখনোই আপনার মনের মাঝে জাগ্রত হওয়া সত্যিকারের বিশ্বাস হারাবেন না। আমাদের সবচে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা অল্পতেই বিশ্বাস হারাই, অন্তত নিজের উপড় বিশ্বাস। যার ফলে আমরা অন্যদের দ্বারা প্রায় সমই ধোঁকা খেয়ে থাকি। 
– স্টিভ জবস

যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি। 
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

সময় তাদের জন্য অনেক্ষন অপেক্ষা করে, যারা তার সদ্ব্যবহার করতে জানে।
– লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি

এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না, যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে। 
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

কারো অতীত জেনো না, বর্তমানকে জানো এবং সে জানাই যথার্থ। 
– এডিসন

বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে। 
– মিল্টন

শিয়ালের মতো একশো বছর জীবন ধারণ করার চাইতে সিংহের মতো একদিন বাঁচাও ভাল। 
– টিপু সুলতান

যদি সর্বোচ্চ আসন পেতে চাও তাহলে সর্বনিম্ন স্থান থেকে আরম্ভ কর। 
– সাইরাস

যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে সাফল্য ও নেই।
– উইলিয়াম ল্যাংলয়েড

যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না। 
– জন এন্ডারসন

সাদা বা ফর্সা মানেই কিন্তু সুন্দর নয়, আর কালো মানেই কিন্তু কুৎসিত নয়। কাফনের কাপড় সাদা কিন্তু ভয়ানক। কাবা ঘর কালো কিন্তু অপরূপ। মানুষের সৌন্দর্য বাহ্যিক দৃশ্যে নয়, চরিত্র দ্বারাই মানুষ সুন্দর হয়। 
– বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)

বিশ্বাস রাখুন নিজের প্রতি। নিজের সিধান্তের প্রতি। আপনি যদি বিশ্বাস করে থাকেন যে আপনি আপনার কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে নেবেন ব্লগের দ্বারা তবে বিশ্বাস রাখুন নিজের প্রতি। কখনো দমে যাবেন নাহ। প্রয়োজনে ঝুঁকি নিন, তবু কখনো পিছু হাঁটবেন না। দেখবেন একদিন আপনার বিশ্বাসই আপনাকে সঠিক পথের সন্ধান দেবে। 
– স্টিভ জবস

যাহা তুমি দেখাও, তার চেয়ে বেশি তোমার থাকা উচিত। যা তুমি জান, তার তুলনায় কম কথা বলা উচিত। 
– উইলিয়াম শেক্সপিয়ার

জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে কি পেলাম সেটাই বড় প্রশ্ন নয়, বরং কি করেছি সেটাই বড় প্রশ্ন। 
– কালাইল

দুঃখ-কষ্ট নিয়েই মানুষের জীবন, কিন্তু দুঃখের পর সুখ আসবে, এটাই ধ্রুব সত্য। 
– এডওয়ার্ড ইয়ং

সৎ পরামর্শের চেয়ে কোনো উপহার অধিক মূল্য নয়। 
– ইমার সনসব 

সমস্যার প্রতিকারই হচ্ছে ধৈর্য্য। 
– হোয়াটলি 

তুমি সবসময় কিছু লোককে বোকা বানাতে পারো, কিছু সময় সবলোককে বোকা বানাতে পারো, কিন্তু সবসময় সব লোককে বোকা বানাতে পারো না। 
– আব্রাহাম লিংকন 

নিজেকে কখনই অন্য কারো সাথে তুলনা করবেনা, যদি তুমি তা করো তবে তুমি নিজেকেই অপমান করলে। 
– বিল গেটস

পরিশ্রম করুন, কঠিন পরিশ্রম। আপনার কাজকে সহজ করতেই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। কারণ একবার পরিশ্রম করে আপনি যদি আপনার কাজকে সঠিক ভাবে বুঝতে ফেলতে সক্ষম হন, তবে পরবর্তী সময়ে আপনাকে কোন  কঠিন পরিশ্রম না করেই এর ফায়দা উঠিয়ে চলতে পাড়বেন। 
– স্টিভ জবস

যখন তুমি কোন ভুল করে ফেল, তখন এর পিছনে বেশি সময় ব্যায় করো না। ভুলের পিছনের কারণগুলোকে মনের মধ্যে গেঁথে নাও এবং সামনে তাকাও। ভুল তোমাকে শিক্ষা দেয় জ্ঞানী হয়ে উঠতে। অতীতকে বদলানো যায় না, কিন্তু ভবিষ্যৎ তোমার ক্ষমতার মধ্যে। 
– হিউ হোয়াইট 

আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময় এ দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
– শেক্সপীয়র

Share:

Saturday, October 24, 2020

"Find"


 Does famous quote mean just quote of famous people? There are many famous sayings and sayings - who gave when - there is no history - but they have been inspiring and inspiring people through the ages. The famous proverbs as well as the common proverbs, the lines of the ancient unnamed poet's poems - all can be considered as part of the famous sayings. ৫০ The 50 famous sayings that I have brought before you today There are - as well as famous proverbs and proverbs at home and abroad. Which will lead you to success and action by overcoming obstacles of frustration and failure. At the same time, honest and strong rate will help to build a non-compliant mentality. ~~~~ So let's take a look at the quotes - “Let life be actionable, constantly running. The grave is there to rest forever ”~~~~ - Hazrat Ali (ra) ~~~~ ~~~~ 02. “Insult the Devil by Telling the Truth” ~~~~ - Old English Proverb ~~~~ ~~~~ 03. "It is possible to live a beautiful life without being famous, but it is never possible to be famous without living a life like this" ~~~~ - Clive James ~~~~ ~~~~ 04. "Everything seems impossible before it is done" - Nelson Mandela

Share:

Friday, October 23, 2020

রহস্যময় সবুজ শিশু

 

সবুজ রঙা শিশুদের গল্প পুরনো দিনের। এদের নিয়ে অনেক গালগল্পই শোনা যায়। কিন্তু এগুলো কি আসলেই গালগল্প? না এর পেছনে কোনো সত্য রয়েছে? কগস্টেলের র‍্যালফ আর নিউব্রিজের উইলিয়াম নামের দুজন লেখক সবুজ রঙা শিশুদের কথা লিখেছেন। তারপরও সন্দেহ আর রহস্য ঘিরেই থাকে মধ্যযুগের এসব আখ্যান নিয়ে। কয়েক যুগ ধরেই বহু আলোচনা আর গবেষণা হয়েছে এই সবুজ শিশুদের অস্তিত্ব এবং জীবন নিয়ে।এসব লেখালেখি থেকে দেখা যায় দ্বাদশ শতকের দিকে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে উলপিট নামের এক গ্রামে হাজির হয় দুই সবুজ রঙা শিশু। এই শিশুদের নিয়ে এখনো চর্চা থামেনি- যেমন মিস্টিরিয়াস ব্রিটেন নামের এক ওয়েবসাইট। এই সাইট শুধু নয় অন্যান্য জায়গাতেও মিলবে সবুজ শিশুদের কাহিনী। তো শোনা যাক কী সেই কাহিনী?সাফোকের উলপিট গ্রামের প্রবেশমুখে একদিন হঠাৎ করে দেখা যায় দুটি শিশুকে। ছোট্ট এই ভাইবোনকে খুবই ভীতসন্ত্রস্ত  দেখাচ্ছিল, কিন্তু তাদের দেখে উল্টো ভয় পেয়ে যায় গ্রামবাসী। কারণ, এই দুই শিশুরই গায়ের রং ছিল সবুজ।

এমন হয় না কি মানুষ! এদিকে তাদের মুখের ভাষার কোনো শব্দও বুঝতে পারছিল না কেউ। কোথায় তাদের দেশ, কোত্থেকে কীভাবে এলো তা নিয়ে বিশাল রহস্য তৈরি হলো গ্রামে। সে যাহোক- ভয়, দ্বিধা আর বিভ্রান্তি কাটিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হলো উইলকিস এলাকার স্যার রিচার্ড ডি কেইনের বাড়িতে। 

এই অদ্ভুত দর্শনের দুটি শিশুকেই ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। গ্রামবাসী তাদের খাবার দিল। কিন্তু কোনো খাবারই তারা খেতে পারছিল না। কত খাবারের ছড়াছড়ি। হঠাৎ করেই বাচ্চা দুটোর চোখ পড়ে খেতে দেওয়া খাবার শিমের দিকে। এরপর তারা খেতে আগ্রহী হয়। শিম হাতে নিয়ে শিমের বীচি খাবার চেষ্টা করে তারা। এ অবস্থা দেখে সবাই তাদের শিখিয়ে দেয় কীভাবে শিমের বীচি খুলে খেতে হয়। এরপর বেশ কিছুদিন ধরে তারা কেবল শিমের বীচিই খেতে থাকে।

কিন্তু ছোট ছেলেটি দিন দিন রোগা আর অসুস্থ হয়ে যেতে থাকে। তার মনমরা ভাবও কাটে না। কিছুদিনের মধ্যেই মারা যায় ছেলেটি। অন্যদিকে, মেয়েটি দিব্যি সুস্থ শরীরে টিকে যায়। শিমের বীচির পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে থাকে। এক সময় তার গায়ের সবুজ রঙও মিলিয়ে যেতে থাকে। কিছুদিন পর সে ধীরেধীরে ইংরেজি ভাষা শিখতে থাকে এবং তাকে খ্রিস্টধর্মের দীক্ষা দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। অন্য মানুষের মতোই স্বাভাবিক জীবন পায় সে। 

মেয়েটি ইংরেজিতে ঠিকঠাক কথা বলা শেখার পর সন্ধান মেলে বড় রহস্যের। সে জানায়, তারা ভাইবোন এমন এক জায়গা থেকে এখানে এসেছিল যেখানে কোনো সূর্য নেই অথচ আলো রয়েছে সবসময়ই! এক অদ্ভুত পথের মধ্য দিয়ে সে আর তার ভাই এসেছিল এই উলপিটের পথে। সে পথটি ছিল বিচিত্র, আর সেখানে মিষ্টি সুরও শোনা যাচ্ছিল। ওই পথ দিয়ে এগোতে এগোতেই হঠাৎ করে তারা পৃথিবীতে এসে পড়ে, সূর্যের তীব্র আলোয় তারা সাময়িকভাবে অন্ধও হয়ে গিয়েছিল। কীভাবে তারা হঠাৎ করে এখানে এসে পড়ল, তা বুঝে উঠবার আগেই গ্রামের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।

এই সবুজরঙা ভাইবোনকে নিয়ে পরবর্তীকালে বহু গল্প-কাহিনীর সাথে হয়েছে বিস্তর গবেষণাও। অনেকে বলেছেন এ নেহায়েতই গল্প, অনেকে একে বলেছেন সত্যিকারের ঘটনা। অনেকে আবার এই ঘটনাকে মিলিয়ে দিচ্ছেন ভিনগ্রহের অ্যালিয়েনদের সঙ্গে! তবে ঘটনা যাই হোক, সবুজ রঙা ভাইবোনের এই গল্প এখনো অমীমাংসিত রহস্যই রয়ে গেছে! 

Share:

Thursday, October 22, 2020

বৃষ্টি

 

বৃষ্টির দিনে কাঁথার তলায় ঘুম ছাড়া আর কিছু করার মত যে আছে সে নির্ঘাত খুব পরিশ্রমী মানুষ। আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। এবারে বাইরে কাজ থাকলে আলাদা কথা কিন্তু ঘরে বসে কাজ? গতকাল বিকেল থেকে আসামে খুব বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। এখনো বৃষ্টি দিচ্ছে। আমার নিজের ঘরে ল্যাপটপের সামনে বসে মনে পড়ছে সেই ২০১৭ সালে আমার পরীক্ষার আগের সময়টায় যখন এমন বৃষ্টি দিচ্ছিল সেদিন ফেসবুকে এটা লিখেছিলাম-

Dear rain, yes I love you and appreciate your kind presence, but please don't come to stay here forever. When you sing with your loud voice along with your friends thunder and cold wind, it makes me sleepy and lazy all day, I want to start my studies after five minutes of rest, but this fifth minute never comes. So, you would be kind enough to stop your frequent visit and help me pass the exam. You just think of our condition please and act kind and gentle!!

এখনো আমার অবস্থা ঠিক ওপরের ওই লেখাটার মতই। আধো অন্ধকার ঘর, ঠাণ্ডা আবহাওয়া, পড়াশোনা করার জন্য আলো জ্বালতে হচ্ছে। ঘরে এরকম কিছু কথা শোনা যাচ্ছে-

"এইতো অসময়ে বৃষ্টি দেবে, বৈশাখ মাস অবধি বৃষ্টি হয়ে তারপর বন্ধ। পরে কৃষকের মাথায় হাত, বন্যা, ধস নেমে রাস্তা বন্ধ…… "

আর আমি কী করছি?

আমি সকালে উঠে প্রতিদিনের মত ডেইলি হিন্দু এনালাইসিস ভিডিও দেখেছি, স্নান করেছি, তারপর আরেকটু পড়েছি। বারোটায় একটা অনলাইন ক্লাস ছিল কিন্তু সেটা আজকে হল না। এই কাজগুলো বাধ্যতামূলক তাই করতেই হল।

তারপর আজকের প্ল্যান ছিল যে দুটো উত্তর খসড়া হিসেবে জমিয়ে রাখা ছিল যেগুলো সম্বন্ধে একটু পড়ে তারপর লিখবো এখানে। কিন্তু এতটাই আলসেমি লাগছে যে সেগুলো না লিখে এই উত্তরটা লিখছি। তারপর খসড়ায় পড়ে থাকবে সেই দুটো ভালো প্রশ্নের উত্তর। আপনারা কেউ নাহয় সুন্দর করে আগেই উত্তরগুলো লিখে দেবেন? আর আমি এখন একটু গান শুনে তারপর আমার এক বছর আগের কেনা বই "ঝিন্দের বন্দি" নিয়ে বসে পড়বো। এখন ভাবছি বাড়িতে একটু চকলেট থাকলে জমে যেত ব্যাপারটা। নেই। কী আর করা😑 ।

আর দুপুরে খেয়েদেয়ে কাঁথা গায়ে ঘুমিয়ে পড়বো। বৃষ্টির দিনে যখন আমার ঘরের ওপরে টিনের চালে জল পড়ার শব্দ হয়, সেটা ঘুম পাড়ানো গানের মত শুনতে লাগে, জম্পেশ ঘুম হয়।বৃষ্টি নিয়ে কত সুন্দির কবিতা, গান, গল্প লেখা হয়েছে। আমি ভাবলাম বৃষ্টি যখন হচ্ছেই তো একটু বাইরের প্রকৃতি দেখে আসি। তারপর ভাবলাম একটা গান ধরি। এই গানটা এক বৃষ্টির দিনে এক বন্ধু পাঠিয়েছিল, বৃষ্টির দিনে এখন এই গানটাই আগে মনে পড়ে-

এই মেঘলা দিনে একলা

ঘরে থাকেনাতো মন

কাছে যাবো কবে পাবো

ওগো তোমার নিমন্ত্রণ[1]

গান গাইতে গিয়ে দেখলাম গলা বসে গেছে, সুর লাগছে না। যাচ্ছেতাই অবস্থা। মনে পড়লো গতকাল বোন মায়ের কাছে অভিযোগ করছিল যে আমি রেওয়াজ করি না মোটেই। মা বলে দিল, "পড়াশোনা আর ঘুম ছাড়া ওর আর কীই বা আছে"। তাই আমি আর গলা ছেড়ে গান গাওয়া বাদ দিয়ে নীরবে গান শুনেই কাটাই আজকের বৃষ্টির দিনটা।

Share:

Wednesday, October 21, 2020

শীতের আগমন

 

শিশির ভেজা সকাল

আসছে নভেম্বর মাস। এ মাসের শুরুতেই শীতের আবহ শুরু হয়। বাতাসে হিমের ছোঁয়া, গাঁ শিরশির করে। ঘাঁসের ওপর শিশির জমে থাকে ।  কবি বলেন- শিউলির প্রলোভনেই হেমন্তের হাত ধরে আসে শীত। ছাতিম আর শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ছাড়া শীতের আগমন যেন নিষ্প্রাণ, ছন্দ-গন্ধহীন।

হেমন্তকেই বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তের রাতে এখন মৃদু কুয়াশা; বাতাসে শীতের হিম হিম স্পর্শ। কুয়াশার আঁচল সরিয়ে শিশিরবিন্দু মুক্তো দানার মতো দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেছে ভোরের নরম রোদে।

গত দু’দিন ধরে পশ্চিমা বায়ু ও পুবালি বায়ুর প্রভাবে আকাশ মেঘলাসহ বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। ‘দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের ঘন কুয়াশা বলে দিচ্ছে- শীত আর দূরে নেই।

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর একটি শীত। শীতের আগের ঋতুটি হচ্ছে হেমন্ত। প্রকৃতিতে চলে বর্ষার বিদায় আর শীতের আগমনের প্রস্তুতি। প্রকৃতিতে শীত আসে একটু একটু করে। শিশিরে ভিজে লাল টকটকে হয়ে ওঠে চিলেকোঠার টবের লাল গোলাপ। শীতের শুস্ক-রুক্ষ প্রকৃতির অপবাদ ঘোচাতে এ সময় গাঁদা, মল্লিকা, গোলাপ, ডালিয়া, কসমস ফিরে পায় পূর্ণ জৌলুস; গাঢ় হয় কলাপাতার রঙ।

ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা যায় । বেশি দেখা দেয় ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সবার সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ড। বিশেষ করে শীতের শুরুতে তাপমাত্রা পরিবর্তনের সময়টাতেই এর প্রাদুর্ভাব বেশি। প্রায়ই দেখা যায় দুই তিন দিন নাক বন্ধ থাকে বা নাক দিয়ে পানি ঝরে। তাই এই সময়টাতে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে।  

Share:

Monday, October 19, 2020

ঘুম হারানো রাত

 

কখনো যদি এমন হয়-
তুমি আর আমি একসাথে আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ করবো
কখনো যদি এমন হয়-
আমি কিছু না বলতেই তুমি সব শুনে নেবে
আমাদের চলার পথও এক হয়ে যাবে তখন
আমার হাতের মুঠোয় তোমার উষ্ণ স্পর্শ থাকবে সেদিন
কেন আজ মনে হয় তুমিহিনা অসম্পূর্ণ এ পৃথিবী?
কেন আজ প্রথম প্রেমের শিহরণ তুমিবিনা অসম্পৃক্ত?
সেই তোমার পাশে কাটানো কোন এক বসন্ত
আর ভালবাসার নিঃশ্বাসে জড়িয়ে থাকা মায়াজালের হাতছানি-
আজও প্রতিরাতে আমাকে কাঁদায়
কখনো যদি এমন হয়-
সব শেষের শুরুতে শুধু তুমি আর আমি
আরেকবার হারাবো আমি তোমার বিশ্বাসে
আরেকবার তুমি ফিরবে সেদিন
আগের মতই পেছন থেকে চোখ জড়িয়ে বলবে-
বল তো আমি কে?
আরেকবার আমি তোমার মিষ্টি হাসির প্লাবনে ভেসে যাব
যেদিন মুছে যাবে এসব স্মৃতি,
হৃদয়টা হয়তো পাবে তৃপ্তি
জানি সেদিন ভাসবে চোখে
জীবনের শেষ দৃশ্যটি…

এই পর্যন্ত লিখে ডাইরিটা বন্ধ করে দেয় আবির। অনেকটাই তো লেখা হল, অথচ যার জন্য এতকিছু সে-ই আজ অন্য কারো হয়ে যাচ্ছে, অন্য কেউ আজ থেকে তাকে নিয়ে এমন কিছু লিখবে। ঠিক এমন কিছু নয়, এটা তো আবিরের ভেঙ্গে যাওয়া হৃদয়ের অতল থেকে উঠে আসা অশ্রাব্য চিৎকার। তাকে নিয়ে হয়তো লেখা হবে নতুন করে সাজান একটি ঘরের কাব্য, অথবা একই চাদরে জড়িয়ে থাকা কয়েকটি ভালোবাসারমুহূর্ত যেখানে সে অন্য কারো চোখের নীলে আপন স্বর্গখুঁজে নেবে…

রাত প্রায় ২ টা হতে চলল।এখনো ঘুম আসছে না আবিরের। বাস্তব কারণ- শত জোরাজোরিকরেও আম্মু আজ রাত ৮ টার ওষুধ গেলাতে পারেনি তাকে। আর মানসিক কারণ- আজকে আনিলার বিয়ে।

মাথারভেতরের অসহ্য যন্ত্রণাটাকে পাত্তা না দিয়ে বিছানায় উঠে বসে আবির। পিসি টেবিলের সামনে গিয়ে ল্যাপটপ খুলে বসে। আজকাল প্রায়ই ‘Bypolar Disorder’ নিয়ে ছোটোখাটো গবেষণা করে সে। এতে খুব যে লাভ হয় তা না। সবজায়গায় একই ধরণের কিছু শব্দ তার দিকে আঙ্গুল তাক করে বসে আছে-” আজীবন তোমাকে এই অসুখ নিয়েই বাঁচতে হবে। ওষুধ দিয়ে অনেকটা বড় সময় পর্যন্ত এর অস্তিত্ব ঢেকে রাখা যায়, কিন্তু ওষুধ ছাড়লেই যেই কে সেই”

প্রথম প্রথম আবিরের এই ‘আজীবন’ শব্দটা পড়লেই ভয় হত। আনিলা কি পারবে পুরো পৃথিবীর সাথে এক হাতে যুদ্ধ করে এই বাস্তবতা মেনে নিতে? এই অসুখের জন্য একটানা ৪ বছর পড়াশোনা নষ্ট হওয়া একটি ছেলের প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে? বাবা হারানো এই মেয়েটা মায়ের সংসারে সারাজীবন কষ্টই পেয়ে গিয়েছে, সে কি চাইবে অসুস্থ একটা ছেলের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে সেই কষ্টের বোঝা বাড়াতে?
এসব দুঃস্বপ্ন এক মুহূর্তেই নাই হয়ে গিয়েছিল যেদিন ধানমণ্ডির রিজবিজের দোকানে বসে কোন এক সন্ধায় আধো আলো আধো ছায়ার মাঝে আবিরের কাঁধে মাথা রেখে আনিলা সরল কণ্ঠে বলেছিল-
” তোমার সবকিছু জেনেই তো আমি তোমাকে ভালবেসেছি। আমার কাছে তো তুমি শুকনো পাতার মত ঝরে পড়া কোন প্রাণ নও। আমার কাছে তুমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফিনান্সে ৫৭ তম হয়ে চান্স পাওয়া একটা তুখর ছেলে, যেই ছেলের লেখা গান শুনে নবীন বরনে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ডেইলি স্টারে ছাপান যার প্রতিটি লেখা আমি কেটে রেখে দিতাম আররাতের বেলা পড়ার বই বাদ দিয়ে একই লেখা বারবার পড়তাম”
হ্যাঁ, আনিলা নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করত। ওর কাছে তখন হয়তো বাস্তবতার চেয়ে আবেগের রাজ্যেরই হাতছানি ছিল বেশি। তাই জীবন আর জগতের নিষ্ঠুরতা বুঝে উঠতে পারেনি। অথবা হয়তো আনিলার মত মানুষের হাত ধরেইনতুন নিষ্ঠুরতার জন্ম হয়।
অস্বাভাবিক মানসিক চাপ এই অসুখের একটা বড় কারণ বলে মনে করা হয়। আবির ছিল বংশের বড় ছেলে, মা-বাবার প্রথম সন্তান। ছোটবেলা থেকেই বাবার ভয়ঙ্কর শাসন মাঝে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ।মায়ের স্নেহের যতটুকু ভাগিদার সে ছিল তাও একসময় চাপা পড়ে বাবার ভয়ে ভীত মায়ের অকারন শৃঙ্খলের পিছে। সে ভাল ছাত্র ছিল তাই সবার হয়তো তাকে ঘিরে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা ছিল। প্রত্যাশা টা কখন যে তাকে একজন কারাবন্দী মানুষ করে দিয়েছে সেটা হয়তো তার পরিবারের মানুষও বুঝতে উঠতে পারেনি। বহুদিন পর্যন্ত বাবার উপর একটা ক্ষোভ কাজ করত আবিরের। সময়ের সাথে সাথে সেইক্ষোভটাই এই অসুস্থতা আকারে বড় হয়ে দেখা দেয়।

আবির যখন বারবার ইউনিভার্সিটি তে রি-এডমিশন নিয়েও পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছিল না, মিলির মত হীন চরিত্রের একটি মেয়ের পাল্লায় পড়ে যখন পুরো বন্ধুমহলের চোখের বিষ হয়ে গিয়েছিল সে, পরিবারের কারোই যখন আর তাকে নিয়ে আশার বালাই ছিল না ঠিক সেই সময়টাতেআনিলা এসেছিল তার সাদাকালো জীবনটাতে নতুন করে রঙের ছোঁয়া দিতে।
-এই তুমি রাত ৮ টার ওষুধ খাইস?
-না
-কেন না?
-ইচ্ছা হয় নাই, তাই খাই নাই। তোমার কি তাতে?
-আমার কিছুই না। শুধু আমার বাবুটার সাথে সারারাত জেগে বসে থাকতে হবে। আমার জাগতে কোন অসুবিধা নাই, কিন্তু বাবুটাকে গান শুনাতে হবে। আমি জানি বাবুটা গান শুনাবে, কিন্তু বাবুর কাউয়া মার্কা গলা শুনে আমার শ্বশুর- শাশুড়ির ঘুম ভেঙ্গে যাবে- আমার সমস্যাটা এখানেই…
আর আনিলার এসব অকাট্য(???) যুক্তির সামনে আবিরকে সমর্পণ করতে হত।
মাঝে মাঝে আবিরের মনে হত আনিলা না থাকলে আজ হয়তো তার স্থান হত কোনমানসিক হাসপাতালের বিছানায়। তাছাড়া কোন বাসার মানুষই প্রতিদিন ভাঙচুরের শব্দ সহ্য করতে রাজি নয়। ছোটবোনটার পরীক্ষার সময়ও রাত জেগে মাকে পাহারা দিতে হয়েছে কখন না জানি ছেলে উঠে কি করে বসে- এমন ছেলেকে কেই বা ঘরে রাখতে চায়?
আর এখন এই ‘আজীবন’ শব্দটাপড়তেই আবিরের ঠোঁটে একটা বিদ্রুপের হাসি ফুটে ওঠে।আনিলা আজ হেরে গিয়েছে। আজ না, হেরেছে আরও ৩ মাস আগেই যখন আবির আনিলার ফুলার রোডের বাসার সামনে গিয়ে কাঠফাটা রোদের মধ্যে ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল আর আনিলা বাসার নিচে এসে বলেছিল-
”চলে যাও এখান থেকে। আমারপক্ষে আর এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না।আমি পারব না আমার মাকে এত বড় কষ্ট দিতে”
আবির কিছুই বলেনি সেদিন। আনিলার চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভেবেছিল-
”আমি তো বলিনি তোমাকে আমার হৃদয়ে এসে বাসা বাধতে, চাইনি তোমাকে আমার করে পেতে। আমার মোহে অন্ধ তুমি যেদিন আমার মাঝে ধরা দিয়েছিলে সেদিনও কি এই সমাপ্তি ভেবে রেখেছিলে?”
ল্যাপটপটা বন্ধ করে ছোট বোনের রুমের সামনে এসে দাঁড়ায় আবির। ঘরের মধ্যে এই একটামাত্র মানুষ যে কিনা সত্যিকারঅর্থে তাকে বোঝে। বয়স মাত্র ১৭, অথচ কথা বলার সময়মাথা নাড়ে এমনভাবে যেন সবজান্তা শমশের। আবিরের যত গান, কবিতা আর লেখা আছে সবকিছুর প্রথম পাঠকের দাবিদার তিনি।

বোনটার বিছানার পাশে গিয়ে অবাক হয়ে লক্ষ্য করে চোখে জল নিয়ে একটা ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়েছে সে। সেই ছবিতে বাবা- মায়ের পাশে ছোট্ট একটা আবির, সেই আবিরের কোলে অনভ্যস্ত হাতে ধরা ৯ মাস বয়সী অথৈ।

কান্নাটা গলায় এসেআটকে যায় আবিরের। নিজের কাছেই নিজেকে বড্ড অচেনা মনে হতে থাকে তখন। ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় সে। চোখের সামনে তখন শেষ রাতের তারার ছড়াছড়ি আর মনের মধ্যে নিজেকে বদলে দেয়ার আরেকটা আকুতির হাতছানি।

Share:

Sunday, October 18, 2020

বসন্ত বন্দনা – নির্মলেন্দু গুণ

 

হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্রসঙ্গীতে যত আছে,
হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে
বনের কুসুমগুলি ঘিরে। আকাশে মেলিয়া আঁখি
তবুও ফুটেছে জবা,—দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে,
তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক।

এলিয়ে পড়েছে হাওয়া, ত্বকে কী চঞ্চল শিহরন,
মন যেন দুপুরের ঘূর্ণি-পাওয়া পাতা, ভালোবেসে
অনন্ত সঙ্গীত স্রোতে পাক খেয়ে, মৃত্তিকার বুকে
নিমজ্জিত হতে চায়। হায় কি আনন্দ জাগানিয়া।

এমন আগ্রাসী ঋতু থেকে যতই ফেরাই চোখ,
যতই এড়াতে চাই তাকে, দেখি সে অনতিক্রম্য।
বসন্ত কবির মতো রচে তার রম্য কাব্যখানি
নবীন পল্লবে, ফুলে ফুলে। বুঝি আমাকেও শেষে
গিলেছে এ খল-নারী আপাদমস্তক ভালোবেসে।

আমি তাই লঘুচালে বন্দিলাম স্বরূপ তাহার,
সহজ অক্ষরবৃত্তে বাঙলার বসন্ত বাহার।

”নির্মলেন্দু গুণ”

Share:

Saturday, October 17, 2020

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে লেখা চিঠি – তসলিমা নাসরিন

 প্রিয় রুদ্র,

প্রযত্নেঃ আকাশ,
তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুরে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগত্সংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র। আচ্ছা, তোমার কি পাখি হয়ে উড়ে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না? তোমার সেই ইন্দিরা রোডের বাড়িতে, আবার সেই নীলক্ষেত, শাহবাগ, পরীবাগ, লালবাগ চষে বেড়াতে? ইচ্ছে তোমার হয় না এ আমি বিশ্বাস করি না, ইচ্ছে ঠিকই হয়, পারো না। অথচ এক সময় যা ইচ্ছে হতো তোমার তাই করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারারাত না ঘুমিয়ে গল্প করতে – করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারাদিন পথে পথে হাটতে – হাটতে। কে তোমাকে বাধা দিতো? জীবন তোমার হাতের মুঠোয় ছিলো। এই জীবন নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলেছো। আমার ভেবে অবাক লাগে, জীবন এখন তোমার হাতের মুঠোয় নেই। ওরা তোমাকে ট্রাকে উঠিয়ে মিঠেখালি রেখে এলো, তুমি প্রতিবাদ করতে পারোনি।

আচ্ছা, তোমার লালবাগের সেই প্রেমিকাটির খবর কি, দীর্ঘ বছর প্রেম করেছিলে তোমার যে নেলী খালার সাথে? তার উদ্দেশ্যে তোমার দিস্তা দিস্তা প্রেমের কবিতা দেখে আমি কি ভীষণ কেঁদেছিলাম একদিন ! তুমি আর কারো সঙ্গে প্রেম করছো, এ আমার সইতো না। কি অবুঝ বালিকা ছিলাম ! তাই কি? যেন আমাকেই তোমার ভালোবাসতে হবে। যেন আমরা দু’জন জন্মেছি দু’জনের জন্য। যেদিন ট্রাকে করে তোমাকে নিয়ে গেলো বাড়ি থেকে, আমার খুব দম বন্ধ লাগছিলো। ঢাকা শহরটিকে এতো ফাঁকা আর কখনো লাগেনি। বুকের মধ্যে আমার এতো হাহাকারও আর কখনো জমেনি। আমি ঢাকা ছেড়ে সেদিন চলে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহে। আমার ঘরে তোমার বাক্সভর্তি চিঠিগুলো হাতে নিয়ে জন্মের কান্না কেঁদেছিলাম। আমাদের বিচ্ছেদ ছিলো চার বছরের। এতো বছর পরও তুমি কী গভীর করে বুকের মধ্যে রয়ে গিয়েছিলে ! সেদিন আমি টের পেয়েছি।

আমার বড়ো হাসি পায় দেখে, এখন তোমার শ’য়ে শ’য়ে বন্ধু বেরোচ্ছে। তারা তখন কোথায় ছিলো? যখন পয়সার অভাবে তুমি একটি সিঙ্গারা খেয়ে দুপুর কাটিয়েছো। আমি না হয় তোমার বন্ধু নই, তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম বলে। এই যে এখন তোমার নামে মেলা হয়, তোমার চেনা এক আমিই বোধ হয় অনুপস্থিত থাকি মেলায়। যারা এখন রুদ্র রুদ্র বলে মাতম করে বুঝিনা তারা তখন কোথায় ছিলো?

শেষদিকে তুমি শিমুল নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতে। বিয়ের কথাও হচ্ছিলো। আমাকে শিমুলের সব গল্প একদিন করলে। শুনে … তুমি বোঝোনি আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এই ভেবে যে, তুমি কি অনায়াসে প্রেম করছো ! তার গল্প শোনাচ্ছো ! ঠিক এইরকম অনুভব একসময় আমার জন্য ছিলো তোমার ! আজ আরেকজনের জন্য তোমার অস্থিরতা। নির্ঘুম রাত কাটাবার গল্প শুনে আমার কান্না পায় না বলো? তুমি শিমুলকে নিয়ে কি কি কবিতা লিখলে তা দিব্যি বলে গেলে ! আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করলে, কেমন হয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। শিমুল মেয়েটিকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তুমি তাকে ভালোবাসো, যখন নিজেই বললে, তখন আমার কষ্টটাকে বুঝতে দেইনি। তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি ঠিকই কিন্তু আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। ভালোবাসা যে যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়।

আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ ! কষ্টের কথা, সুখের কথা। একদিন আকাশভরা জোত্স্নায় গা ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের। তুমি দু চারটি কষ্টের কথা বলে নিজের লেখা একটি গান শুনিয়েছিলে। “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও”। মংলায় বসে গানটি লিখেছিলে। মনে মনে তুমি কার চিঠি চেয়েছিলে? আমার? নেলী খালার? শিমুলের? অনেক দিন ইচ্ছে তোমাকে একটা চিঠি লিখি। একটা সময় ছিলো তোমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখতাম। তুমিও লিখতে প্রতিদিন। সেবার আরমানিটোলার বাড়িতে বসে দিলে আকাশের ঠিকানা। তুমি পাবে তো এই চিঠি? জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক’দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই।

ইতি,
সকাল


Share:

Recent

3/recent-posts

Music

3/Music/post-grid

BTemplates.com

3/Photography/post-per-tag
Powered by Blogger.

Facebook

Gold Digger

  Gold Digger She'd never SAY that money mattered... Really all that much to her. But at a DOZEN hearts get shattered... When she finds ...

Search This Blog

Blog Archive

Fashion

3/Fashion/post-per-tag

Beauty

3/Beauty/post-per-tag

Videos

3/Food/recent-videos

Technology

3/Technology/small-col-left

Sports

3/Sports/small-col-right

Fashion

3/Fashion/big-col-right

Business

3/Business/big-col-left

Header Ads

Header ADS

Followers

Nature

3/Nature/post-grid

Comments

3/recent-comments

Subscribe Us