বলা হয়ে থাকে যদি আপনি জিনিসটা না পছন্দ করে থাকেন জিনিসটি পাল্টে ফেলুন।আর যদি জিনিসটি পাল্টাতে না পারেন নিজের চিন্তাশক্তিকে প্রয়োগ করে একে গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তুলুন। কেউ গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েও দুখী কারণ তার বন্ধুও তাই পেয়েছে। কেউ এপ্লাস পেয়ে দুঃখী কারণ সে গোল্ডেন এ প্লাস পাই নি। কিন্তু তাদের কোনো এক বন্ধু বি গ্রেড পেয়ে পার্টি করছে।
বিচ্ছেদ হলে পজেটিভ মানুষগুলো চিন্তা করে, জীবনভর ভুল মানুষের সাথে থাকার চেয়ে ভালোই হলো, হয়তো আরো ভালো কোন মানুষ আমার জীবনে রয়েছে, যে সময়গুলো আমার তাকে মনে পড়বে সেই সময় গুলোকে আমি কাজে লাগিয়ে আমি আমার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবো।
এক্ষেত্রে নেগেটিভ মানুষগুলো চিন্তা করে, আমার কি হবে, আমি কিভাবে বাঁচবো, তার সাথে কাটানো সময় গুলো কিভাবে ব্যয় করবো, আমি জীবনভর দুঃখে থাকবো, আমি চিরকাল তাকে মনে করে জীবন কাটিয়ে দিব!
এ তো গেল প্রাথমিক নেগেটিভ চিন্তা ওয়ালা লোক! কিছু মানুষ এতোটাই ভেতর থেকে ভেঙে পড়ে যে সুইসাইড করে বসে।
জীবনে যত মানুষ যত কিছুতে উন্নতি করেছে, তারা বহুবার বিফল হয়েছে।কিন্তু তারা সেই বিফলতা কে নেতিবাচকতা দিয়ে আঁকড়ে ধরে থাকে নাই। তাই তারা আজ সফলতার মুখ দেখেছে। একটা শ্রেষ্ঠ গানের পিছনে থাকে একরাশ আবেগ। একটা পুরস্কার পাওয়া মুভির পেছনের গল্পটা লেখা হয় কোন ভাঙা হৃদয় কে কেন্দ্র করে।
মন কিন্তু বাস্তবে একটি গাছের মতন। তাও কচি গুল্ম জাতীয় গাছ। যেখানে তাকে তার জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেখানে সে বেড়ে ওঠে। যখন পজিটিভ চিন্তা আসে তার সাথে আরো দশটা পজিটিভিটি সাথে নিয়ে আসে। আর নেগেটিভ চিন্তাধারা সবসময় নিজের অক্ষমতা, দুঃখ, আক্ষেপ আর না পাওয়াকে মনে করিয়ে দেয়।
0 comments:
Post a Comment